মাধ্যমিকের পরে কী,?
আর কিছু দিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশ হতে চলেছে, বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরির প্রতিযগিতা অনেক বেশি, থাকায়, মাধ্যমিকের পরে কী নিয়ে পড়াশোনা করবে সেটা প্রায় সমস্ত অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রী দের মধ্যে একটা চিন্তার বিষয় হয়ে থাকে। মাধ্যমিকের পরে ভোক্যাশনাল বা কারিগরি শিক্ষা একটি ভালো বিকল্প দিক হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনার নিদিষ্ট কোনো আগ্রহের দিক থাকে তাহলে ভোক্যাশনাল নিয়ে পড়াশোনা করে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।
* সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী হতে এবং দ্রুত জীবিকা অর্জন করতে সাহায্য করে। নিচে কয়েকটি প্রধান সুবিধা উল্লেখ করা হলো:
কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি:
* ভোকাশনাল কোর্সগুলি সাধারণত নির্দিষ্ট শিল্প বা পেশার চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হয়ে থাকে । এর ফলে কোর্স শেষ করার পরেই শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে।
এই ধরনের কোর্সে তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি হাতে কলমে প্রাক্টিক্যাল প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে কাজ করার সুযোগ পায়, যা তাদের কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।
পশ্চিমবঙ্গ তথা অন্যান্য রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র যেমন - ইলেকট্রনিকস, ইলেক্ট্রিক,বস্ত্রশিল্প, নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, এগ্রিকালচার, অটোমোবাইল, ইত্যাদি ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রচুর দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। ভোকাশনাল ট্রেনিং এই চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
*বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, ল্যাবরেটরি এবং ইন্ডাস্ট্রি ভিজিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব কাজের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।
*ভোকাশনাল কোর্সগুলির করে উচ্চশিক্ষার অনেক সুজোগ রয়েছে সমসাময়িক প্রচলিত ডিগ্রি কোর্সগুলিতে সরাসরি পড়ার সুবিধা আছে।
* যারা উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি দ্রুত রোজগার করতে চান, তাদের জন্য ভোকাশনাল ট্রেনিং একটি ভালো বিকল্প দিক হতে পারে।
* পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট এবং প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হলো, যেখানে আপনি ভোকেশনাল কোর্স এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতে পারেন। ভালো করে তথ্য
যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
*পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন পর্ষদ
*পশ্চিমবঙ্গ টেকনিক্যাল এডুকেশন ট্রেনিং অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট
এইভাবে, বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, নিজের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে আপনি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কেবলমাত্র একটি ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর না করে, একাধিক বিকল্প খতিয়ে দেখা সবসময়ই বুদ্ধিমানের কাজ।
যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনো ক্ষেত্র বা কোর্স সম্পর্কে জানার থাকে, তবে আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমি সাধ্যমত তথ্য সংগ্রহ করে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন