মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে এবার নতুন পথের হাতছানি। বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য নাকি ভোকেশনাল
![]() |
মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে এবার নতুন পথের হাতছানি। বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য নাকি ভোকেশনাল |
মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে এবার নতুন পথের হাতছানি। বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য নাকি ভোকেশনাল - আপনার জন্য কোন শাখাটি সঠিক? ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে কোন পথে এগোবেন? আসুন, এই পোস্টে মাধ্যমিকের পরের বিভিন্ন শিক্ষাপথের সুযোগ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা যাক। আপনার আগ্রহ ও লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এই তথ্যগুলি সহায়ক হতে পারে।
মাধ্যমিকের পরে, পড়াশোনা করার জন্য আপনার সামনে অনেকগুলো রাস্তা রয়েছে। আপনি আপনার আগ্রহের ও ভবিষ্যতের লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। নীচে কয়েকটি বিকল্প দেওয়া হলো:
* উচ্চমাধ্যমিক #Higher Secondary,
উচ্চমাধ্যমিক হলো মাধ্যমিকের পরের স্তর, এবং উচ্চশিক্ষার পূর্ববর্তী একটি শিক্ষাস্তর। এটি সাধারণত দুই বছর মেয়াদী একটি কোর্স যা দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সম্পন্ন করে। এই স্তরটি শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
উচ্চমাধ্যমিকে প্রধানত তিনটি দিক আছে।
১) বিঞ্জান বিভাগ Science ২) কলা বিভাগ Arts ৩) বানিজ্য বিভাগ Comerce,
তাছাড়া পলিটেকনিক, আই টি আই, ভোকেশনাল নিয়েও পড়াশোনা করা যায়, এই সব কোর্স গুলো টেকনিক্যাল বিভাগের মধ্যে পড়ে। এই কোর্স গুলোর সুবিধাজনক দিক গুলো কাজের বাজারের জন্য প্রস্তুত: ভোকেশনাল পলিটেকনিক কোর্সগুলো বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এর ফলে, কোর্স শেষ করার পরই তাদের চাকরির সুযোগ বেড়ে যায়।
* বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গণিতের মতো বিষয়গুলি থাকে।
* কলা বিভাগে ইতিহাস, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, ইত্যাদি বিষয়গুলি থাকে।
* বাণিজ্য বিভাগে হিসাবশাস্ত্র, অর্থনীতি, ব্যবসায় শিক্ষা, ইত্যাদি বিষয়গুলি থাকে।
* ডিপ্লোমা কোর্স (Diploma Courses):
* আপনি পলিটেকনিক কলেজে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তিগত বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারেন।
* উদাহরণস্বরূপ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, ইত্যাদি।
* আইটিআই কোর্স (ITI Courses):
* আপনি বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে (Industrial Training Institute) বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
* উদাহরণস্বরূপ, ফিটার, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, কার্পেন্টার, ইত্যাদি।
* ভোকেশনাল কোর্স (Vocational Courses):
* আপনি বিভিন্ন বৃত্তিমূলক কোর্স করতে পারেন। যেমন- অটোমোবাইল মেকানিক্স, কার্পেন্ট্রি, ইলেক্ট্রিশিয়ান, প্লাম্বিং, ওয়েল্ডিং, কুলিনারি আর্টস, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ইত্যাদি।
আপনার আগ্রহ এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য অনুযায়ী সঠিক কোর্স নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার শিক্ষক, অভিভাবক এবং ক্যারিয়ার পরামর্শদাতাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন