জানুন এই গাছের গুনাগুন জানলে, অবাক হবেন।






খুবই গুনকারী একটি গাছ এই গাছের গুনা গুন জানতে অবশ্যই সম্পুর্ন অনুচ্ছেদ টি ভালো করে খতিয়ে পড়ুন। 
দিন ও রাতে অক্সিজেন সরবরাহ করে এমন অনেক গাছ আছে কিন্তু তার মধ্যে স্নেক প্ল্যান্ট (Snake Plant)  হলো একটি বিশেষ  উল্লেখযোগ্য প্ল্যান্ট কারন এই গাছ বিনা যত্নে বেড়ে ওঠা একটি জনপ্রিয় এবং সহজে পরিচর্যা করা যায় এমন একটি গৃহস্থালী গাছ।

:* অন্যান্য নাম :

* কেউ কেউ আবার মনে  করেন এই গাছ থেকে বিশেষ কোনো গন্ধ বার হয় তাই এই গাছ বাড়িতে থাকলে  সেই 'বাড়িতে ভুলেও সাপ ঢোকে না। তাই একে সাপ তাড়ানো গাছ  বলা হয়ে থাকে। 

* তা ছাড়া এর লম্বা জীহ্বার মতো পাতার জন্য শাশুড়ীর জিভ নামেও পরিচিত। 




* উপকারীতা :

 * গাছ সাধারণত দিনের বেলায় অক্সিজেন ত্যাগ করে কিন্তু এই গাছটি রাতেও অক্সিজেন ত্যাগ করে এবং বাতাস থেকে ক্ষতিকারক গ্যাস পরিশোধন করে পরিবেশকে দূষণ মুক্ত করতে   সাহায্যে করে  টক্সিনের মতো ক্ষতিকারক গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে।

* উৎপত্তি:

   * পশ্চিম আফ্রিকা, এখন ভারত বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যায়। 



* বৈশিষ্ট্য:

 * একটি জনপ্রিয় এবং সহজে পরিচর্যা করা যায় এমন একটি গৃহস্থালী গাছ। এটি কারখানায় অতি অবশ্যই রাখার জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এর মোটা পাতা কারখানার ধুলো বালি নষ্ট করতে পারে না। 


* পরিচর্যা:

 * আলো: স্নেক প্ল্যান্ট উজ্জ্বল, পরোক্ষ আলোতে সবচেয়ে ভালো বাড়ে, তবে এটি কম আলোতেও ভালো ভাবেই টিকে থাকতে পারে। সরাসরি তীব্র সূর্যালোক পাতার ক্ষতি করতে পারে না। 

* এই গাছের জন্য খুব কম জলের প্রয়োজন হয়। মাটি সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে জাবার পরে তবেই জল দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত জল দিলেও খুব একটা ক্ষতি করে না। এর পাতা প্রতিদিন জল স্প্রে করে ধোওয়া দরকার। 


 * মাটি: ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা যুক্ত মাটি ব্যবহার করা উচিত। তবে সাধারণত ক্যাকটাস বা ওই জাতীয় উদ্ভিদের জন্য তৈরি মাটি এর জন্য উপযুক্ত হবে। 

 * তাপমাত্রা

* স্বাভাবিক ভাবে (18°C - 35°C) তাপমাত্রায় এর বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত। 


 * আর্দ্রতা: 

স্নেক প্ল্যান্ট কম আর্দ্রতাতেও ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তাই এটিকে বিশেষ কোনো আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় না।

 * সার

খুব বেশি সারের প্রয়োজন হয় না।  তবে মাঝে মধ্যেই  হালকা জৈবসার দেওয়া যেতেই পারে। তাতে গাছের সোভা বৃদ্ধি পাবে। 

* কীটনাশক :

এর মোটা পাতা পোকামাকড় ক্ষতি করতে পারে না, তাই কীটনাশক না দেওয়াই ভালো ,  পয়োজনে শ্যাম্পু জলে গুলে স্প্রে করা যাবে। 

 * পুনঃস্থাপন

যখন গাছের শিকড় টবের বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তখন  এটিকে অন্য টবে প্রতিস্থাপন করা উচিত।

* বংশবৃদ্ধি:

 * স্নেক প্ল্যান্ট পাতা ছোট ছোট কেটে বা গাছের গোড়া ভাগ করে নতুন চারা তৈরি করা যেতে পারে।

* চারা কোথায় পাওয়া যাবে :

বিভিন্ন নাসারী বা অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতেও এই গাছের চারা বা গাছ কিনতে পাওয়া যাবে। ১০০ টাকার আশেপাশেই দাম পড়বে।


* সতর্কতা:

 * স্নেক প্ল্যান্ট সামান্য বিষাক্ত হতে পারে,  এটি গিলে ফেললে বা ত্বকের সংস্পর্শে এলে সামান্য অস্বস্তি হতে পারে। তাই ছোট বাচ্চা এবং পোষা প্রাণীদের থেকে দূরে রাখা উচিত।

* মোটকথা, স্নেক প্ল্যান্ট একটি অত্যন্ত উপকারী এবং সহজে পরিচর্যা করা যায় এমন একটি গাছ যা আপনার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বাতাসকেও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। তাই সবার বাড়িতেই এই গাছ বিষেশ করে শোবার ঘরে  বা পড়ার ঘরে রাখা অত্যন্ত ভালো। 

* আপনার কমেন্ট আমাদের কাছে অনেক মুল্যবান। তাই এই ধরনের মুল্যবান বিষয় গুলো জানতে অবশ্যই চ্যানেলটি তে কমেন্ট করে রাখুন। বা আপনার মতামত জানান।

 

#snake plant,#air-purifying,#Pollution-free,

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাধ্যমিকের পর অবসর: রঙ তুলিতে নতুন ভুবনের সন্ধান এবং "Trishna's Art Space" এর জন্ম🎨

ভাগ্য কি সত্যিই আপনার হাতের মুঠোয়?

উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখতে কিছু ওয়েবসাইটের Link

বাঙালির জীবন জুড়ে থাকা এক সরল সঙ্গী - উপকারী না অপকারী?

মাধ্যমিকের পরে কী,?

জানেন কী? মহাকাশের অজানা তথ্য

Madhyamik Result 2025

বাচ্চাদের সাথে কেমন ব্যবহার করা প্রয়োজন