জঙ্গলমহলে রহণী পরব: জ্যৈষ্ঠের তেরো দিনে নতুন কৃষিবর্ষের সূচনা
![]() |
জঙ্গলমহলে রহণী পরব: জ্যৈষ্ঠের তেরো দিনে নতুন কৃষিবর্ষের সূচনা |
রহিনী পরবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
কৃষিভিত্তিক উৎসব: এই পরবের মূল উদ্দেশ্য হল বীজ বপন করা এবং ভালো ফসলের কামনা করা। কৃষকদের বিশ্বাস, রোহিণী নক্ষত্রে বীজ বপন করলে শস্য উৎপাদনে কোনো বাধা থাকে না ও ফসলের রোগ ও পোকামাকড় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তাছাড়াও রোহিনী পরবের শুভলগ্নে সমস্ত চাষি একযোগে চাষের শুভারম্ভ করা ।
আচার অনুষ্ঠান :
*এই দিন ভোর বেলায় বাড়ির মহিলারা উঠানে গোবর জল ছড়া দিয়ে উঠান ও পাশাপাশি রাস্তা পরিস্কার করেন। তারপর চাষের জন্য মাটি ও সাউড়া গাছের ডাল সংগ্রহ করে নিয়ে ঘরের কোনায় ও তুলুসী তলায় রাখেন। সাউড়া গাছের পাতায় পোকার আক্রমণ থেকে ফসলের সুরক্ষিত রাখে বলে কৃষকরা করেন।
*এই দিনে লক্ষী ঠাকুরের পদ চিহ্নের ছবি এঁকে লক্ষী ঠাকুরের আরাধনা করা হয়। তারপর জমিতে ধানের নিয়ম করে বীজ বোনা হয়।
* বন থেকে বা আষঢ়্যা ফল সংগ্রহ করে আনেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ফল খেলে নাকি শরীরে রোগপ্রতিরধের ক্ষমতা বাড়ে ও বিষের পতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারে চাষের কাজের সময় বিভিন্ন পোকামাকড়ের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ও এটি এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে বলেও মনে করেন প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:
* এই দিন আট থেকে আশি সবাই বিভিন্ন ভাবে সেজেগুজে ঢাক, ঢোল, তাল পাতার বাঁশি, বাজিয়ে নাচে গানে মেতে উঠেন। নাচ গান শেষে ভোজের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
![]() |
রহনী নাচের দৃশ্য |
*আসকে পিঠে, পায়েস, আষাঢ়্যা ফল, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, খাওয়ার আয়োজন করা হয়ে থাকে সাধ্যমতো।
পরিবেশ-বান্ধব উৎসব উদযাপন:
* এই পরব একটি কৃষিভিত্তিক পরব, এই উৎসব উদযাপনে তেমন কোন ক্ষতিকারক দিক নেই। সাজসজ্জা সবই পরিবেশ বান্ধব তাই পরিবেশের ক্ষতি না করে সেদিকে লক্ষ্য বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।
#localfestival, #RohiniParab,#RuhainParab,#AgriculturalFestival,#Junglemahal,#Purulia,#Bankura, #PaschimMedinipur, #WestMedinipur,#Jharkhand, #FarmersFestival, #NewAgriculturalYear, #IndianTraditions, #RuralIndia, #FarmingCommunity,
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন